মাস্কের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলা চিকিৎসক ওএসডি
রাজধানীর ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট মুগদা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক শহিদ মো. সাদিকুল ইসলামকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। করোনায় চিকিৎসকদেরকে দেওয়া মাস্কের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলায় এ হাসপাতাল পরিচালক শাস্তিমূলক বদলির শিকার হয়েছেন। তাকে হাসপাতালের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নিয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।
মুগদা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক শহিদ মো. সাদিকুল ইসলামকে বুধবার ওএসডি করে আদেশ জারি করা হয়। এ সংক্রান্ত চিঠি সাদিকুল ইসলাম হাতে পেয়েছেন।
সম্প্রতি কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য কেন্দ্রীয় ঔষধাগার থেকে দেওয়া মাস্কের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন এই চিকিৎসক। তিনি এ বিষয়ে মতামত চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর চিঠিও দিয়েছিলেন।
তবে সাদিকুল ইসলামকে কেন ওএসডি করা হয়েছে, আদেশে এর কোনও কারণ উল্লেখ করা হয় নি বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। এ বিষয়ে ডা. সাদেকুল ইসলাম কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, কী কারণে তাকে ওএসডি করা হয়েছে, তা কর্তৃপক্ষই বলতে পারবে। তার চাকরির মেয়াদ আছে মাত্র সাত মাস। এ অবস্থায় ওএসডির ঘটনায় ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বা সন্দেহভাজন রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য বিশেষ সুরক্ষাসামগ্রী ও মাস্ক দিচ্ছে সরকার। রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালেও সুরক্ষাসামগ্রী ও মাস্ক দেওয়া হয়।
তবে ‘এন–৯৫’ মাস্কের নামে যে মাস্ক দেওয়া হয় তার মান নিয়ে প্রশ্ন তোলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। নির্দিষ্ট মাস্কের (এন-৯৫) বদলে মোড়কে দেওয়া হয়েছিল মুন্সিগঞ্জে তৈরি করা মাস্ক।
এ ব্যাপারে গত ১ এপ্রিল শহিদ মো. সাদিকুল ইসলাম স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ বিষয়ে একটি চিঠি দেন। তাতে বলা হয়, হাসপাতালের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ মার্চ কেন্দ্রীয় ঔষধাগার অন্যান্য মালামালের সঙ্গে ৩০০টি এন–৯৫ মাস্ক সরবরাহ করেছে। মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার একটি প্রতিষ্ঠান এই মাস্কের প্রস্তুতকারী। এই মাস্কগুলো প্রকৃতপক্ষে ‘এন–৯৫’ কিনা, সে বিষয়ে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় সাংসদ সাবের হোসেন চৌধুরী টেলিফোনে হাসপাতালের পরিচালকের কাছে জানতে চেয়েছেন। চিঠিতে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় মতামত দেওয়ার অনুরোধ করা হয়।◉