যুক্তরাষ্ট্রে ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক করোনাভাইরাসে ব্যবহার নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে
যুক্তরাষ্ট্রে ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহৃত ক্লোরোকুইন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীকে সারিয়ে তুলতে ব্যবহার করা যাবে কিনা, তা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।
স্থানীয় সময় সোমবার দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, এই ওষুধটিই হতে পারে ‘ঈশ্বরের দেওয়া উপহার।’
তবে এএফপি জানায়, বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, কার্যকারিতা প্রমাণিত হওয়ার আগে এ ধরনের ওষুধ প্রয়োগের ফল হতে পারে ভয়ানক।
গত সপ্তাহে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে হাইড্রোক্সি ক্লোরোকুইন ও ক্লোরোকুইন জাতীয় ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে গবেষণা চলছে।
চীন ও ফ্রান্সে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের ওপর এ ধরনের ওষুধ প্রয়োগে সফলতা মিলেছে- সম্প্রতি এমন একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়। এরপরই ওষুধ দুটির কার্যকারিতা নিয়ে পরীক্ষা শুরুর কথা জানায় ওয়াশিংটন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফৌচি বলেছেন, ‘পর্যাপ্ত ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বা পরীক্ষামূলক প্রয়োগ ছাড়া মানুষ যেন এখনই এ ধরনের ওষুধ ব্যবহার শুরু না করেন।’
যদিও ট্রাম্পের কথায় ততদিন ধৈর্য ধারণের কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক বিজ্ঞানীকে বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে।
সোমবার হোয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেছেন, ‘হাইড্রোক্সি ক্লোরোকুইন ও জি-পার্কের সংমিশ্রণে আমরা ভালো ফল পেতে পারি। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় এর ব্যাপক কার্যকারিতা থাকতে পারে। বোধ হয় এটি ঈশ্বরের দেওয়া উপহার। ওই ওষুধ যদি কাজ করে তাহলে পুরো চিত্র বদলে যেতে পারে।’
হাইড্রোক্সি ক্লোরোকুইন জাতীয় ওষুধ খেয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক নারীর সুস্থ হয়ে ওঠার উদাহরণও টেনেছেন ট্রাম্প।
তবে তিনি যেভাবে যত্রতত্র হাইড্রোক্সি ক্লোরোকুইন নিয়ে কথা বলে যাচ্ছেন তাতে সন্তুষ্ট হতে পারছেন না অনেক ওষুধ বিজ্ঞানী।
তবে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার থেকে নিউইয়র্কে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের ওপর হাইড্রোক্সি ক্লোরোকুইনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হতে পারে। ♦