শামীমার নাগরিকত্ব বাতিল করার সিদ্ধান্তকে বৈধ: যুক্তরাজ্যের আদালত
ব্রিটিশ নাগরিকত্ব ফিরে পাওয়ার প্রাথমিক লড়াইয়ে হেরে গেলেন আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দেওয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শামীমা বেগম।
শুক্রবার দেশটির দ্য স্পেশাল ইমিগ্রেশন আপিল কমিশনে শামীমার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিলের বৈধতা নিয়ে করা চ্যালেঞ্জের বিষয়টির শুনানি হয়। পরে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করার সিদ্ধান্তকে বৈধ বলে রায় দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের আদালত।
রায়ে আদালত আরও বলেছেন বলেছেন, ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিলের ফলে রাষ্ট্রহীন হয়ে যান নি শামীমা বেগম। তার পিতা-মাতা বাংলাদেশি, তাই তিনি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দাবি করতে পারেন।
শামীমা বেগমের আইনজীবী ডেনিয়েল ফর্নার আর্ন্তজাতিক গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে তারা আপিল প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।
২০১৫ সালে ১৫ বছর বয়সে ইসলামিক স্টেটে যোগ দেয়ার উদ্দেশ্যে লন্ডন ছেড়েছিলেন শামীমা। তখন তিনি পূর্ব লন্ডনের বেথনাল গ্রিন একাডেমির ছাত্রী ছিলেন। তার সঙ্গে আরও দুই বান্ধবী ছিল। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সিরিয়ার একটি শরণার্থী শিবির থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। শামীমা বর্তমানে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের ‘রজ’ নামের একটি শরণার্থীশিবিরে আছেন।
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে সিরিয়ার আল-হওর শরণার্থীশিবিরে এক বৃটিশ সাংবাদিকের সঙ্গে শামীমার দেখা হয়। তখন তিনি যুক্তরাজ্যে ফিরে আসার আকুতি জানান। এরপর শামীমা বেগমের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করেন যুক্তরাজ্যের তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ। পরে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিলের বৈধতা নিয়ে আদালতে চ্যালেঞ্জ করেন শামীমা।