Our Concern
Ruposhi Bangla
Hindusthan Surkhiyan
Radio Bangla FM
Third Eye Production
Anuswar Publication
Ruposhi Bangla Entertainment Limited
Shah Foundation
Street Children Foundation
September 16, 2024
হেডলাইন
Homeআন্তর্জাতিকস্বামীদের হাত-পা ভেঙে ঘরে বসিয়ে রাখবেন রাশিয়ান স্ত্রীরা

স্বামীদের হাত-পা ভেঙে ঘরে বসিয়ে রাখবেন রাশিয়ান স্ত্রীরা

স্বামীদের হাত-পা ভেঙে ঘরে বসিয়ে রাখবেন রাশিয়ান স্ত্রীরা

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সেনা সমাবেশের ঘোষণার পর শুধু বাইরের দেশগুলোতেই আতঙ্ক এমন নয়। আতঙ্ক দেখা দিয়েছে রাশিয়াতেও। সামর্থ্যবান পুরুষরা যাতে যুদ্ধে যাওয়ার অনুপযোগী হয়ে ওঠেন, সেজন্য তাদের হাড়গোড় ভেঙে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন রাশিয়ান স্ত্রীরা। তাদের সামনে আর কোনো পথ নেই। তাই স্বামীদের হাড় ভেঙে দিতে চান, যাতে তারা যুদ্ধে অনুপযোগী হন। ওদিকে যুদ্ধে ডাক পড়বে, এমন আতঙ্কে হাজার হাজার মানুষ দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে। বিমানবন্দরগুলোতে দীর্ঘ লাইন। তাতে যারা দাঁড়ানো তাদের বয়স ২৫ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। যে যেভাবে পারছেন দেশ ছাড়ছেন। অনেকে সড়কপথে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিচ্ছেন।

কোনোমতে সীমান্ত পাড়ি দিতে পারলে রক্ষে- এমন এক রুদ্ধশ্বাসে ছুটছে মানুষ। এতে সীমান্ত পয়েন্টগুলোতে যানজট দেখা দিচ্ছে। বুধবার পুতিন ‘আংশিক সেনা সমাবেশের’ ঘোষণা দেয়ার পর বিমানের একমুখী ফ্লাইটের টিকিট হটকেকের মতো বিক্রি হয়ে যায়। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন ডেইলি মেইল।

সাইবেরিয়ার তুমেনের একজন নারী বলেছেন, এই যুদ্ধে আমার স্বামীকে যেতে দিতে পারি না। আমি তার দুই পা-ই ভেঙে দেবো। তার দায়িত্ব শুধু তার সন্তানদের লালন করা, (যুদ্ধ নয়)। কিন্তু তার এ বক্তব্য কি কর্তৃপক্ষের কানে পৌঁছেছে! কর্তৃপক্ষ এক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা নিয়েছে। তারা কার্যকর রিক্রুটদেরকে বলেছে- যদি তারা যুদ্ধের ডাক এড়ানোর জন্য নিজেরাই হাত-পা’র ক্ষতি করেন, তাহলে আইনগত ‘স্যাংশনের’ অধীনে পড়বেন।
ওদিকে বিমানবন্দরগুলো থেকে যেসব ছবি এবং ভিডিও প্রকাশ পাচ্ছে, তাতে দেখা যাচ্ছে যারা দেশ ছাড়ছেন তারা সব যুবক। সীমান্ত ক্রসিংগুলোতে ভারি যানজট। তাদের মধ্যে ভয় ঢুকে গেছে যে, লকডাউন দেয়া হতে পারে রাশিয়ায়। তারপর অধিক সংখ্যক বেসামরিক লোকজনকে যুদ্ধে পাঠানো হবে। বুধবার রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এরোফ্লোট বলেছে, তারা যুবকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে না। তবে শিগগিরই এমন বিধিনিষেধ আসতে পারে। এরপরই মস্কোর ভনুকোভো বিমানবন্দরে রাতে দেখা গেছে নাটকীয় দৃশ্য।

দেশ ত্যাগ আটকে দেয়ার আগে তারা দেশ ছাড়তে মরিয়া। তাদের বেশির ভাগের বয়স ২৫ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। তাদেরকে বিমানবন্দরের পাসপোর্ট কন্ট্রোলের কাছে ডেকে নেয়া হয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। জানতে চাওয়া হয়, পুতিনের সেনা সমাবেশের ঘোষণা দেয়ার পর কেন তারা বিমানের টিকেট কিনেছেন। তাদের কাছে রিটার্ন টিকেট আছে কিনা।

এ সময় তাদের ভ্রমণের উদ্দেশ্য এবং সামরিক পদবী সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। তারা সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারলে একজন নারী কর্মকর্তা তাদেরকে এসকর্ট করে পাসপোর্ট কন্ট্রোল পর্যন্ত নিয়ে যান এবং কর্মকর্তাদের ইঙ্গিতে বলেন, তাদের দেশ ছেড়ে যাওয়ায় কোনো সমস্যা নেই। আবার কাউকে পরবর্তীতে পাসপোর্ট কন্ট্রোলে এফএসবি কর্মকর্তারা আবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। এভাবে কতজনকে বিমানে আরোহন করা বন্ধ করা হয়েছে, তার সংখ্যা পরিষ্কার জানা যায়নি।

অন্যদিকে রাশিয়া ও কাজাখস্তানের মধ্যবর্তী সীমান্ত আলতাই রিজিয়নে দেশ ছাড়তে বিপুল সংখ্যক মানুষের ভিড়ের ভিডিও দেখা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, এর বেশির ভাগই রাশিয়ান যুবক। তাদের বেশির ভাগই জানেন না কিভাবে সীমান্ত পাড়ি দিতে হবে। তাদের চোখেমুখে হতাশা। সম্ভবত তারা প্রথমবার বিদেশে যাচ্ছেন। রাশিয়ার সঙ্গে ফিনল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তে যানজট তীব্র আকার ধারণ করে রাতের বেলা। বৃহস্পতিবার একথা বলেছে ফিনিশ বর্ডার গার্ড। ফিলিস বর্ডার গার্ডের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক প্রধান মাত্তি পিটকানিত্তি বলেছেন, এত মানুষ ব্যতিক্রম।

Share With:
Rate This Article
No Comments

Leave A Comment