হাউজ ফ্লোরে বুধবার ভোটের মাধ্যমে ট্র্রাম্পের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হতে পারে
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ উত্থাপন করে অভিশংসনের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে দেশটির হাউজ প্যানেল। এখন আর একটি ধাপ পার হলেই তৃতীয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের অভিশংসন নিশ্চিত হবে। সিএনএন জানায়, এবার হাউজ ফ্লোরে ভোটের মাধ্যমে ট্র্রাম্পের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হবে।
হাউজ জুডিশিয়ারি কমিটির ভোটের মাধ্যমে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসনের প্রস্তাব হাউজ প্যানেলে এসেছে। সেখানে ডেমোক্র্যাটরা সকলে অভিসংশন প্রস্তাবের পক্ষে এবং রিপাবলিকানরা সকলে এর বিপক্ষে ভোট দেয়। যার ফলাফল- ডেমোক্র্যাট ২৩ এবং রিপাবলিকান ১৭। এই ভোটও বলে দিচ্ছে পরবর্তী ভোটেও ডেমোক্র্যাটরা এগিয়ে থাকবে। কেননা হাইজ সভায় তাদের সংখ্যা গরিষ্ঠতা রয়েছে।
এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দু’টি অভিযোগ গঠন করেন ডেমোক্র্যাটরা। ১০ ডিসেম্বর প্রতিনিধি পরিষদের বিচার বিভাগীয় কমিটির চেয়ারম্যান জেরল্ড নাডলার এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ গঠনের কথা জানান। প্রথম অভিযোগ, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন এবং দ্বিতীয়ত তিনি বিচার কাজে বাধা দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অবশ্য সে সময় এই এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও হাস্যকর বলে উড়িয়ে দেন।
১৮৬৯ সালে অ্যান্ড্রিউ জনসন, ১৯৯৮ সালে বিল ক্লিনটন এবং ১৯৭৪ সালে রিচার্ড নিক্সন অভিশংসনের মুখে পড়েন। তবে নিক্সন অভিশংসিত হওয়ার আগেই পদত্যাগ করেছিলেন বলে সিএনএন জানিয়েছে। সেই হিসেবে তৃতীয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিশংসন হবেন ট্রাম্প।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ রয়েছে?
বিচার বিভাগীয় কমিটির চেয়ারম্যান জেরল্ড নাডলার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্প দু’টি অপরাধ করেছেন। প্রথমত : তিনি ক্ষমতার অপব্যহার করে নিজের স্বার্থ রক্ষায় দেশের স্বার্থকে বিকিয়ে দিয়েছেন। তিনি ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সুবিধা পেতে সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট তথা নির্বাচনে প্রার্থী জো বাইডেনের বিষয়ে তদন্তের জন্য ইউক্রেনকে চাপ দিয়েছিলেন। এর মাধ্যমে তিনি সংবিধান লংঘন এবং শপথ ভঙ্গ করেছেন।
নাডলার আরও বলেন, ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের বিষয়ে একটি বিচার বিভাগীয় কমিটি গঠিত হয়েছিল। ঐ বিচার কাজে হস্তক্ষেপের অভিযোগ আছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। নাডলার বলেন, প্রেসিডেন্ট নিজেকে আইনের ঊর্ধ্বে মনে করেন। কিন্তু কেউ এমনকি প্রেসিডেন্টও আইনের ঊর্ধ্বে নন। গত ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন তদন্ত শুরু করেন ডেমোক্র্যাটরা।