Our Concern
Ruposhi Bangla
Hindusthan Surkhiyan
Radio Bangla FM
Third Eye Production
Anuswar Publication
Ruposhi Bangla Entertainment Limited
Shah Foundation
Street Children Foundation
December 21, 2024
হেডলাইন
Homeআন্তর্জাতিকহামলার আশঙ্কায় জানালাবিহীন কক্ষে লুকিয়ে আছেন প্রিগোজিন

হামলার আশঙ্কায় জানালাবিহীন কক্ষে লুকিয়ে আছেন প্রিগোজিন

হামলার আশঙ্কায় জানালাবিহীন কক্ষে লুকিয়ে আছেন প্রিগোজিন

মার্কিন এক কর্মকর্তা দাবি করেছেন, রাশিয়ার হয়ে লড়াই করা ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন বেলারুশের রাজধানী মিনস্কের একটি জানালাবিহীন হোটেলে নিজেকে লুকিয়ে রেখেছেন। তার ওপর হামলা হতে পারে এমন আশঙ্কায় তিনি এভাবে অবস্থান করছেন বলে দাবি ওই মার্কিন কর্মকর্তার। খবর এপি।

গত শনিবার রুশ সেনা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ডাক দেন ওয়াগনারপ্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। নিজের সৈন্য নিয়ে ঢুকে পড়েন রাশিয়ার শহর রোস্তভ-অন-ডনে। সেখানকার একটি সামরিক স্থাপনাও দখল করে নেয় ওয়াগনার সেনারা। পরে বেলারুশের প্রেসিডেন্টের আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় সৈন্য প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। প্রিগোজিনও চলে যান বেলারুশে। এ ঘটনার দুয়েকদিন প্রকাশ্যে দেখা যায়নি পুতিন বা প্রিগোজিনকে। তাদের কোনো কথাও শোনা যায়নি।

পরে ওয়াগনারপ্রধান বেলারুশ থেকে এক অনলাইন অডিওবার্তায় বলেন, আমি আমার বাহিনীকে বাঁচাতেই বিদ্রোহ করেছিলাম। রুশ সেনা কর্তৃপক্ষের কিছু কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাতে চেয়েছিলাম মাত্র। তবে পুতিন সরকারকে উৎখাত করার কোনো প্ল্যান আমাদের ছিল না। প্রিগোজিন অডিও মাধ্যমে এ বার্তা দিলেও তাকে জনসমক্ষে দেখা যায়নি।

এদিকে মার্কিন সিনেট ইন্টেলিজেন্সের চেয়ারম্যান মার্ক ওয়ার্নার সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ওয়াগনার বস মিনস্কে আছেন। তিনি সেখানকার একটি হোটেলের এমন কক্ষে অবস্থান করছেন, যে কক্ষে কোনো জানালা নেই। কেউ তাকে হত্যা করার চেষ্টা চালাতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকেই তিনি এভাবে আত্মগোপনে রয়েছেন।

ভাড়াটে যোদ্ধা গোষ্ঠী ওয়াগনারের বিদ্রোহ সম্পর্কে প্রথমেই জাতির উদ্দেশে এক ভাষণ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেখানে তিনি এ কর্মকাণ্ডকে বিশ্বাসঘাতকতা বলে অভিহিত করে এর জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান। পরে বেলারুশের মধ্যস্থতায় এ পরিস্থিতির অবসান ঘটলে তিনি ওয়াগনারের সেনা সদস্যদের লড়াই ছেড়ে চলে যাওয়া বা রুশ বাহিনীর সাথে একীভূত হওয়ার প্রস্তাব দেন। তবে তিনি প্রিগোজিনের ব্যাপারে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি।

একই ভাষণে তিনি রুশ সেনাবাহিনী ও জনগণের প্রশংসা করে বলেন, ইউক্রেন ও পশ্চিমা বিশ্ব চেয়েছিল রাশিয়ার নাগরিকরা পরস্পরকে হত্যা করুক। কিন্তু তাদের সে স্বপ্ন শেষ পর্যন্ত পূর্ণ হয়নি।

Share With:
Rate This Article
No Comments

Leave A Comment