ওয়াশিংটন ডিসির দূতাবাসে ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালিত
ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদা ও গাম্ভীর্যের সঙ্গে ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং তাদের এদেশীয় দোসরদের হাতে নির্মমভাবে নিহত এ মাটির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু কর্নারে অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। এ সময় মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনান মিনিস্টার (কনস্যুলার) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান এবং মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) মো. রাশেদুজ্জামান। এরপরে দিনটির তাৎপর্য তুলে ধরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে রাষ্ট্রদূত ইমরান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের প্রতিও গভীর শ্রদ্ধা জানান।
তিনি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের দ্বারা বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীদের বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞকে মানব ইতিহাসের অন্যতম গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেন এবং এই দিনটি আরও বৃহৎ পরিসরে পালনের মাধ্যমে এই নৃশংস হত্যাযজ্ঞকে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত ইমরান বলেন, এই নৃশংস হত্যাযজ্ঞ ছিল জাতির জন্য একটি অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগে উদ্বুদ্ধ হয়ে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অনুরোধ জানান।
আলোচনায় অংশ নিয়ে মিনিস্টার (প্রেস) এজেডএম সাজ্জাদ হোসেন ১৪ ডিসেম্বরকে বাঙালি জাতির ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক দিন হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা এই দিনে দেশের প্রখ্যাত বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে জাতিকে মেধাশূন্য করতে চেয়েছিল।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের শাস্তি এড়াতে কিছু যুদ্ধাপরাধী বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন এবং খুনিদের বিচারের মুখোমুখি করতে অবিলম্বে তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
শহীদ বুদ্ধিজীবী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এক বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শেষ হয়। কর্মসূচি পরিচালনা করেন কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান শামীমা ইয়াসমিন স্মৃতি।