Our Concern
Ruposhi Bangla
Hindusthan Surkhiyan
Radio Bangla FM
Third Eye Production
Anuswar Publication
Ruposhi Bangla Entertainment Limited
Shah Foundation
Street Children Foundation
October 16, 2024
হেডলাইন
Homeজীবনশৈলীকরোনাভাইরাস নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে ছড়াচ্ছে ভুয়া সংবাদ

করোনাভাইরাস নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে ছড়াচ্ছে ভুয়া সংবাদ

করোনাভাইরাস নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে ছড়াচ্ছে ভুয়া সংবাদ

ঠান্ডা লাগলে যেমন নাক দিয়ে জল পড়ে ও কফের সমস্যা হয়, তা করোনাভাইরাসের উপসর্গ নয় বলে একটি পোস্ট ছড়িয়েছিল সোশ্যাল সাইটে। ওই পোস্ট ভুয়া বলে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা এএফপি।
 
তারা জানিয়েছে, বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞরা তো বটেই, করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সতর্কবার্তাতেও বলা হয়েছে ওই উপসর্গ করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক নয়।
 
একটি ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশট কয়েক দিন ধরেই ছড়াচ্ছিল ফেসবুক, টুইটারে। খিন মাউং উ নামে এক ‘বিশেষজ্ঞ’ চিকিৎসকের নাম দিয়ে ওই পোস্টে করোনাভাইরাস চেনার ‘সহজতম পদ্ধতি’ বলে জানানো হয়।
 
সেখানে দাবি করা হয়, ঠান্ডা লাগলে যে নাক দিয়ে জল পড়া বা কফের সমস্যা হয়, তেমন হলে করোনাভাইরাসের নিউমোনিয়ার আশঙ্কা নেই। করোনাভাইরাসে শুকনো কফের সমস্যা হয় ও নাক দিয়ে পানি পড়ার উপসর্গ থাকে না বলেও দাবি করা হয় ওই পোস্টে।
 
ওই ‘বিশেষজ্ঞ’, খিন মাউং উ-র শেনঝেন হাসপাতালের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি রয়েছে বলেও লেখা ছিল ওই পোস্টে। দাওয়াই হিসেবে আদা, রসুন খেতেও বলা হয়।
 
তথ্য যাচাই করে এএফপি জানিয়েছে, ওই পোস্ট ভুয়া। চীন, আমেরিকা এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা— সব নির্দেশিকাতেই নাক দিয়ে পানি পড়াকে করোনাভাইরাস আক্রান্তের উপসর্গ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
 
চীনের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নির্দেশিকায় বলা হয়েছে ভাইরাসের মূল উপসর্গ হলো জ্বর, ক্লান্তি ও শুকনো কফ। তবে কোনও কোনও আক্রান্তের নাক বন্ধ, নাক দিয়ে পানি পড়া, গলাব্যথা ও ডায়রিয়াও হতে পারে। মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা কফের সমস্যাকে কম পরিচিত উপসর্গ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
 
ওই সংবাদসংস্থা আরও জানিয়েছে, ওই পোস্টে বলা, খিন মাউং উ নামে কোনও বিশেষজ্ঞের খোঁজও মেলে নি। তার কর্মস্থান বলা হয়েছে ‘শেনঝেন হাসপাতাল।’ এ নামে কোনও হাসপাতালও নেই।
 
শেনঝেন প্রশাসনের ওয়েবসাইটে কাছাকাছি নামের তিনটি হাসপাতাল হল— পিকিং ইউনিভার্সিটি শেনঝেন হসপিটাল, ইউনিভার্সিটি অফ হংকং- শেনঝেন হসপিটাল ও শেনঝেন হসপিটাল অফ সাদার্ন মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি। এই তিন হাসপাতালে ওই নামের কোনও চিকিৎসকও নেই। ♦
 
 
 
 
 
Share With:
Rate This Article
No Comments

Leave A Comment