গাজায় সবচেয়ে প্রাণঘাতী বোমা ব্যবহার করেছে ইসরায়েলে
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রথম সপ্তাহে বিশ্বের সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক বোমা হিসেবে পরিচিত ২০০ হাজার পাউন্ড ওজনের এমকে-৮৪ অর্ডন্যান্স বোমা ব্যবহার করেছে ইসরায়েল। প্রাণঘাতী এই বোমা শতাধিক বার নিক্ষেপ করায় গাজায় এত বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন। অবরুদ্ধ এই অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রাপ্ত স্যাটেলাইট ইমেজ বিশ্লেষণ এসব তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন ও নিউইয়র্ক টাইমস।
সিএনএন ও নিউইয়র্ক টাইমসের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা যুদ্ধের প্রথম সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এমকে-৮৪ অর্ডন্যান্স বোমা ব্যবহার করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। এমনকি ইসরায়েলি বাহিনীর আদেশ মেনে যেসব ফিলিস্তিনি এলাকা ছেড়েছেন তাদের ওপরও এসব বোমা ফেলা হয়েছে। ভয়ংকর এ বোমা ইসরায়েল অন্তত ২০০ বার ব্যবহার করেছে।
সামরিক বিশেষজ্ঞদের বরাতে দুটি মার্কিন সংবাদমাধ্যমই জানিয়েছে, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এসব বোমা প্রায় কখনোই ফেলা হয় না। আর গাজা বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চল। মাত্র ৩৬২ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ২০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি বসবাস করেন। প্রাণহানির হার বেশি হওয়ায় আন্তর্জাতিক মানবিক আইনে নির্বিচারে এসব বোমা ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
জাতিসংঘের যুদ্ধাপরাধবিষয়ক সাবেক তদন্ত কর্মকর্তা মার্ক গারলাস্কো বলেছেন, যুদ্ধের প্রথম মাসে তেল আবিব যে হারে গাজায় বোমা হামলা করেছে তা ভিয়েতনাম যুদ্ধের পর আর দেখা যায়নি।
জাতিসংঘের যুদ্ধাপরাধবিষয়ক সাবেক তদন্ত কর্মকর্তা মার্ক গারলাস্কো বলেছেন, যুদ্ধের প্রথম মাসে তেল আবিব যে হারে গাজায় বোমা হামলা করেছে তা ভিয়েতনাম যুদ্ধের পর আর দেখা যায়নি।
অবরুদ্ধ এই অঞ্চলে এত বেশি প্রাণহানির অন্যতম একটি কারণ এই বোমার ব্যবহার। শুক্রবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় ২০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৫৩ হাজারের বেশি মানুষ। ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা আছে কয়েক হাজার।
ইসরায়েলের মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এই বোমার ওজন ২০০০ পাউন্ড বা ৯০৯ কেজির বেশি। ওজন ও আকৃতির দিক দিয়ে এই বোমা যেমন বিশাল তেমনি মারাত্মক প্রাণঘাতীও। এই বোমা যে এলাকায় ফেলা হয়, তার চারপাশের এক হাজার ফুট দূরত্বের মধ্যে থাকা মানুষ হতাহত হতে পারেন।