গাজার জনসংখ্যার ৮০ শতাংশই বাস্তুচ্যুত: জাতিসংঘ
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের টানা সাত সপ্তাহের বোমা হামলায় বেশিরভাগ বাড়িঘর ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, এতে গাজার মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশই বাস্তুচ্যুত হয়েছে। তারা বেশিরভাগই জাতিসংঘ সংশ্লিষ্ট ভবনগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। খবর বিবিসির।
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের টানা সাত সপ্তাহের বোমা হামলায় বেশিরভাগ বাড়িঘর ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, এতে গাজার মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশই বাস্তুচ্যুত হয়েছে। তারা বেশিরভাগই জাতিসংঘ সংশ্লিষ্ট ভবনগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। খবর বিবিসির।
ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের ত্রাণ সহায়তাদানকারী জাতিসংঘ সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ রবিবার জানিয়েছে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে ১৭ লাখের বেশি বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
ইউএনআরডব্লিউএ আরও জানায়, অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত ১০ লাখের মতো মানুষ এখন গাজার উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় ১৫৬টি জাতিসংঘ স্থাপনায় আশ্রয় নিয়েছে।
এছাড়া গাজার মধ্যাঞ্চল, খান ইউনিস ও রাফাহ এলাকায় আরও প্রায় ৯ লাখ ২০ হাজার মানুষ ইউএনআরডব্লিউএ পরিচালিত ৯৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছে।
গাজায় গত ৭ অক্টোবর থেকে ২৪ নভেম্বর যুদ্ধবিরতির আগপর্যন্ত টানা বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৩৬ হাজারের মতো আহত হয়েছে। হতাহতদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছে আরও অন্তত ৭ হাজার।
এমন পরিস্থিতিতে কাতারের মধ্যস্থতায় গত শুক্রবার হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চারদিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। যুদ্ধবিরতির তৃতীয় দিন পার হয়ে রবিবার।
যুদ্ধবিরতির শর্ত হিসেবে, চারদিনে ৫০ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। বিনিময়ে ১৫০ ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল।
চুক্তির আওতায় তিনদিনে ৩৯ ইসরায়েলিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস, অন্যদিকে ১১৭ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল।
সাময়িক যুদ্ধবিরতির চারদিন শেষ হচ্ছে সোমবার। এরপর যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও বাড়ানো হবে কিনা, তা নিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কাতার।