ধর্ষণকান্ডে জাবির ৫ শিক্ষার্থী বহিষ্কার, ২ জনের সনদ বাতিল
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমানসহ ৭ জনের শাস্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এদের মধ্যে ৫ জনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার এবং অপর দুই জনের একাডেমিক সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রবিবার (১০ মার্চ) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো: আবু হাসান শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মূল অভিযুক্ত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও তার সহায়তাকারী একই বিভাগের ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মুরাদ হোসেনের সনদ স্থায়ীভাবে বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও ধর্ষককে পলায়নে সহায়তাকারী আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী মোস্তফা মনোয়ার সিদ্দিকী সাগর, ৪৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহ পরান, ৪৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. হাসানুজ্জামান ও উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী সাব্বির হাসান সাগরকে স্থায়ীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে স্থায়ী বহিস্কৃতদের মধ্যে আরেকজন ছাত্রের পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও বলেন, বহিষ্কৃত সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্ছিত করা হয়েছে। এছাড়া বহিরাগত অভিযুক্ত মামুনুর রশিদ মামুনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত বহাল রয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে মীর মশাররফ হোসেন হলের ‘এ’ ব্লকের ৩১৭ নম্বর কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে হল সংলগ্ন পাশের জঙ্গলে নিয়ে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ধর্ষণের মুল অভিযুক্ত মোস্তাফিজকে পালাতে সহায়তা করে বহিষ্কৃত অন্যান্য শিক্ষার্থীরা। ঘটনার জেরে আশুলিয়া থানায় ছয়জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলার পরিপ্রেক্ষিতে মুল অভিযুক্তসহ চারজনকে আটক করে পুলিশ।