নিউ ইয়র্ক পুলিশের নির্বাহী পদে পটুয়াখালীর প্রিন্স আলম
যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের অন্যতম সেরা ও চৌকস পুলিশ বাহিনী নিউ ইয়র্ক পুলিশ বিভাগের (এনওয়াইপিডি) নির্বাহী পদ ক্যাপ্টেন পদে পদোন্নতি পেলেন বাংলাদেশি আমেরিকান একেএম শফিউল আলম প্রিন্স।
গত ২৮ এপ্রিল নিউ ইয়র্ক পুলিশ বিভাগের কুইন্সের পুলিশ একাডেমিতে আড়ম্বরপূর্ণ এক অনুষ্ঠানে তার হাতে পদোন্নতির সনদ তুলে দেন নিউ ইয়র্ক পুলিশের কমিশনার কিচেন্ট সিওয়েল। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি আমেরিকান পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। প্রিন্স আলম সংগঠনটির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক।
প্রায় ১৭ বছরের চাকরি জীবনে একেএম শফিউল আলম প্রিন্স পর্যায়ক্রমে অফিসার থেকে সার্জেন্ট, এরপর লেফটেন্যান্ট ও ক্যাপ্টেন পদে পদোন্নতি লাভ করেন। বর্তমানে তিনি নিউইয়র্ক পুলিশের ট্রান্সপোর্টেশন ব্যুরোর ইন্টেগ্রিটি কন্ট্রোল অফিসার হিসাবে কর্মরত। প্রিন্স আলমের গ্রামের বাড়ি বাংলাদেশে পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলায়। তার বাবা এ কে এম শাহ আলম পেশায় একজন আইনজীবী এবং মাতা জাহানারা আলম একজন গৃহিনী। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী প্রিন্স আলম ২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। পুনরায় কুইন্স বরো কমিউনিটি কলেজ থেকে ব্যবস্থাপনা এবং জন জে কলেজ থেকে ক্রিমিনাল জাস্টিসে ব্যাচেলর ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। ক্রিমিনাল জাস্টিসে পড়াশোনার সময় তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে যোগদানের আগ্রহ প্রকাশ করেন। এরপর ২০০৬ সালে নিউ ইয়র্ক পুলিশের অফিসার পদে যোগদান করেন প্রিন্স আলম।
এক প্রতিক্রিয়ায় ক্যাপ্টেন প্রিন্স আলম বলেন, আমি আমার কমিউনিটিকে সেবা দিতে চাই। মূলধারায় এগিয়ে নিতে চাই। এ কারণেই নিজেকে প্রস্তুত করছি।
বাপার মিডিয়া লিয়াজোঁ ডিটেকটিভ জামিল সারোয়ার জনি জানান, নিউ ইয়র্ক পুলিশে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কর্মকর্তাদের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। পুলিশ বিভাগে বাংলাদেশিরা অনেক ভালো করছেন। ভবিষ্যতে এ ধারা আরও অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। জামিল সারোয়ার জানান, নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগে (এনওয়াইপিডি) দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন সহস্রাধিক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পুলিশ কর্মকর্তা। তাদের মধ্যে এ পর্যন্ত ক্যাপ্টেন পদে পদোন্নতি পেয়েছেন ৫জন। এই পদটি পুলিশ বিভাগের নির্বাহী পদ। এর পরের পদগুলো, বিশেষ করে ডেপুটি ইন্সপেক্টর থেকে সর্বোচ্চ কমিশনার পদে নিয়োগ রাজনৈতিক বিবেচনায় হয়। অফিসার থেকে ক্যাপ্টেন পর্যন্ত পদোন্নতি হয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার মাধ্যমে।