বইয়ের কথা: উপন্যাস-পথ হারিয়ে পথে’
উপন্যাস: পথ হারিয়ে পথে’
লেখক: রকিবুল ইসলাম মুকুল
প্রকাশনা: অনিন্দ্য প্রকাশ
প্রচ্ছদ: এঁকেছেন ধ্রুব এষ
দাম: অনির্ধারিত
শুনশান দুপুর। শীত ফুরিয়ে আসছে। ফাগুনের আগুন দেখা না দিলেও তাঁতানো রোদের ঝাঁঝ খানিকটা জানান দিচ্ছে। শীত যাই যাই করেও ভোর রাতে উঁকি দেয় জানালা গলিয়ে। দিনে আবার উল্টোটা। ঝাঁ চকমকে রোদ জানিয়ে দেয় লিলুয়া বাতাস আসছে। আজকের রোদটা সম্ভবত যুবতী রোদ। তাঁতানো আগুন না থাকলেও তেজ ঘরের ভিতর থেকেই আঁচ পাচ্ছে বনলতা। উত্তরের জানালার পর্দাটা দুলছে হালকা বাতাসে। আর সেই ফাঁক গলে ঝলমলে আকাশটা দেখতে মন্দ লাগছেনা। চায়ের কাপটা গুনে গুনে একশো বার ঘোরানো শেষে থামল বনলতা। আশালতা পাশের ঘরে এখনো ঘুমাচ্ছে। একবার গিয়ে দেখে আসা দরকার। ঢাকার যে অবস্থা। মশা-মাছি একবার শরীরে ছুঁয়ে দিলে আর রক্ষা নেই। এমনিতেই বিপদের অন্ত নেই বনলতার। বুনো লতার মতই আঁকড়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছে এখানে ওখানে। জীবন সংগ্রামে পথ হারিয়ে বার বার খুঁজে নিচ্ছে পথের ঠিকানা।
এভাবেই প্রবহমান স্রোতের মতো এগিয়ে চলে কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক রকিবুল ইসলাম মুকুলের ‘পথ হারিয়ে পথে’ ষষ্ঠ উপন্যাসের প্রধান চরিত্র বনলতার জীবন। এগিয়ে চলে উপন্যাসও। পথ হারিয়ে পথের কাহিনী মূলত সমকালীন সমাজে নিঃসঙ্গ মায়ের কষ্টগাঁথার গল্প। এই নিঃসঙ্গ মায়ের দেখা স্বপ্ন আর বেঁচে থাকার লড়াইকে উপজীব্য করে এগিয়ে চলে ‘পথ হারিয়ে পথে’ উপন্যাসের গল্প।
আসছে একুশে বইমেলায় উপন্যাসটি প্রকাশ করবে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অনিন্দ্য প্রকাশ। প্রচ্ছদ এঁকেছেন ধ্রুব এষ।
রকিবুল ইসলাম মুকুল তার অনুসন্ধিৎসু লেখায় মানব জীবনের বহুমাত্রিক রূপের সন্ধান করে থাকেন। সহজ শব্দ ও ছোট ছোট বাক্যে ছন্দময়তার বুননে বাক্য আর ভাষাকে গতিময় করেন। তার উপন্যাসে বাস্তবতা এবং মানুষের স্বপ্নময় আপন ভূবনের দ্বৈরথকে একীভূত করে পাঠককে নিয়ে চলেন নিজস্ব এক ভূবনে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি