‘মদ্যপান বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অধিকার’
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সোশিওলজি বিভাগের এক ছাত্রীর বক্তব্য। তাতে ওই ছাত্রীকে বলতে শোনা যায়, ‘ক্যাম্পাসে মদ্যপান ও ধূমপান করা শিক্ষার্থীদের অধিকার।’ তার এমন বক্তব্যে মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কড়া সমালোচনায় মুখর হয়েছে যাদবপুরের ছাত্রছাত্রী ও ছাত্র সংগঠনগুলোও।
ভিডিওতে ওই ছাত্রীকে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা অনেককে বলতে শুনেছি ক্যাম্পাসে এত বিয়ারের বোতল কেন? যারা এসব বলছেন, আমি নিশ্চিত তারাও মদ্যপান করেন। তারা নিজেদের ঘরে করেন। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে দ্বিতীয় বাড়ি বলে মনে করি। তাই আমাদের অধিকার রয়েছে ক্যাম্পাসে মদ্যপান বা ধূমপান করার।’
এই অধিকার কে দিয়েছে জানতে চাইলে শ্রীজাতা বাগচি বলেন, ‘কেউ আমাকে এই অধিকার দেবে না। কিন্তু আমার এই অধিকার আছে।’
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের মৃত্যুর কয়েক দিনের মধ্যেই এই ঘটনা ঘটল। অবশ্য এরপরেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে মদ্যপান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বৈধ পরিচয়পত্র ছাড়া সীমিত করা হয়েছে শিক্ষার্থীদের প্রবেশও।
শ্রীজাতা বাগচি নামের ওই ছাত্রী নিজেকে আর্টস ফ্যাকাল্টি স্টুডেন্ট ইউনিয়নের সদস্য (আফসু) বলে দাবি করেছেন। জানা গেছে, তিনি ইনকেলাবি স্টুডেন্ট ইউনিটির সদস্য। সংগঠনটি যাদবপুরে ‘ক্রান্তি’ নামে পরিচিত।
এদিকে ক্যাম্পাসে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মতামত দিতে গিয়ে মদ্যপান নিয়ে ছাত্রীর বক্তব্যে নিন্দার ঝড় উঠেছে। আফসু ও এসএফআইয়ের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় আঞ্চলিক কমিটির সদস্য সৌর্যদীপ্ত রায় বলেন, আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এই কথায় কোনও যুক্তি নেই। আফসু হোক বা এসএফআই, কোনোদিক থেকেই আমরা এই বক্তব্যের সমর্থন করি না। ক্যাম্পাসে অসামাজিক কাজ আমরা সমর্থন করি না।
স্যোশালে এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘কোনও পাবলিক প্লেসে ধূমপান করা বৈধ নয়। ক্যাম্পাস পাবলিক প্লেস। আপনি ভাবতে পারেন এটি আপনার দ্বিতীয় বাড়ি। তবে এটি আপনার দ্বিতীয় বাড়ি নয়।’ অবশ্য বিতর্কের মুখে পড়ে পরবর্তীতে নিজের বক্তব্যের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষমা চেয়ে পোস্ট দিয়েছেন শ্রীজাতা বাগচি।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন ও নিউজ ১৮