মার্কিন নৌবাহিনীর শীর্ষ পদে নারী
অ্যাডমিরাল লিসা ফ্রাঞ্চেত্তিকে নৌবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা হিসেবে নির্বাচিত করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি হবেন নৌবাহিনীর ইতিহাসে প্রথম নারী যিনি এই পদে অধিষ্ঠিত হবেন, সেইসঙ্গে জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফের প্রথম নারী সদস্য। ফ্রাঞ্চেত্তি বর্তমানে নৌ অপারেশনের ভাইস চিফ হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৮৫ সাল থেকে ইউএস নেভাল ফোর্সের কোরিয়ার কমান্ডার, ওয়ারফাইটিং ডেভেলপমেন্টের জন্য নেভাল অপারেশনের ডেপুটি চিফ এবং জয়েন্ট স্টাফের কৌশল, পরিকল্পনা এবং নীতির পরিচালক হিসাবে কাজ করেছেন লিসা। তিনি দুটি ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপেরও নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ভাইস সিএনও হয়েছেন।
শুক্রবার এক ঘোষণায় বাইডেন বলেছেন, ”আমাদের পরবর্তী নৌ-পরিচালন প্রধান হিসাবে দায়িত্ব নেবেন অ্যাডমিরাল লিসা ফ্রাঞ্চেত্তি। যিনি একজন কমিশন্ড অফিসার হিসাবে আমাদের দেশের সেবায় ৩৮ বছর নিয়োজিত থেকেছেন, তিনি বর্তমানে নৌ-পরিচালনার ভাইস চিফের ভূমিকা পালন করছেন।” পুরো কর্মজীবনে, অ্যাডমিরাল ফ্রাঞ্চেত্তি অপারেশনাল এবং নীতি উভয় ক্ষেত্রেই ব্যাপক দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন। ফ্রাঞ্চেত্তি দ্বিতীয় নারী যিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীতে চার-তারকার অ্যাডমিরাল পদমর্যাদা অর্জন করেছেন। শুধু তাই নয় তিনি আবারও ইতিহাস তৈরি করলেন প্রথম নারী হিসেবে নৌবাহিনীর প্রধান এবং জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। বাইডেন ইউএস ফ্লিট ফোর্সেস কমান্ডের উপ-কমান্ডার ভাইস অ্যাড. জেমস কিলবিকে পরবর্তী ভাইস সিএনও মনোনীত করছেন এবং প্রশান্ত মহাসাগরে মার্কিন বাহিনীর নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ইউএস প্যাসিফিক ফ্লিটের কমান্ডার অ্যাড. স্যামুয়েল পাপারোকে ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডের কমান্ডার হিসেবে মনোনীত করছেন। পাপারোর কাছ থেকে ইউএস প্যাসিফিক ফ্লিটের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার জন্য ভাইস অ্যাডএম স্টিফেন ওয়েব কোহেলারকেও বাইডেন মনোনীত করেছেন।
প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন মনোনয়নের প্রশংসা করে বলেছেন, ”প্রতি অ্যাডমিরাল আবারো প্রমাণ করবেন আমাদের মার্কিন নৌবাহিনী এবং ইন্দো-প্যাসিফিকের যৌথ বাহিনী বিশ্বের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সামরিক বাহিনী।
সমুদ্রের স্বাধীনতা রক্ষা করা এবং আন্তর্জাতিক নিয়ম-শৃঙ্খলা রক্ষা করা তাদের কাজের কেন্দ্রস্থলে থাকবে।”ফ্রাঞ্চেত্তি সম্ভবত সিনিয়র জেনারেল এবং ফ্ল্যাগ অফিসারদের একটি ক্রমবর্ধমান দলে যোগ দেবেন। টমি টিউবারভিল তার সিনিয়র সামরিক মনোনয়ন ধরে রেখেছেন। অন্যান্য সিনিয়র অফিসারদের মধ্যে রয়েছেন জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফের চেয়ারম্যান পদে মনোনীত প্রার্থী বিমানবাহিনীর জেনারেল সি.কিউ. ব্রাউন। ইতিমধ্যেই বাইডেন প্রশাসনের আমলে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রতিরক্ষা সচিবের পদটি অলংকৃত করেছেন ক্রিস্টিন ওয়ার্মুথ। এছাড়াও পেন্টাগনের সবচেয়ে সিনিয়র দুই নেতা হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন দুই কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষ।
সূত্র : সিএনএন