মুসলিমদের সঙ্গে মিটছে না বাইডেনের সম্পর্কের ছেদ
ইসরায়েলে অস্ত্র না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও মুসলিম ও আরব-আমেরিকান নেতাদের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের তিক্ত সম্পর্ক স্বাভাবিক হচ্ছে না। গাজা যুদ্ধ শেষ করতে ইসরায়েলের ওপর নতুন চাপ সৃষ্টি করেছেন বাইডেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম নেতারা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত নিতে অনেক দেরি করে ফেলেছেন তিনি। নেতারা বলছেন, অস্ত্র না দেওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে বাইডেনকে অবশ্যই গাজা যুদ্ধ থেকে সরে আসতে হবে। অন্যদিকে মুসলিমদের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে উঠেপড়ে লেগেছেন হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা। কারণ, এটি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বছর। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের
সম্প্রতি ইসরায়েলে ৩ হাজার ৫০০ বোমার চালান স্থগিত করেন বাইডেন। একই সঙ্গে গাজার দক্ষিণের রাফাহ শহরে স্থল আক্রমণে সহায়তা করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। এই দুটি সিদ্ধান্ত মার্কিন নীতিতে বিশাল এক পরিবর্তন। এই ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত বাইডেন প্রশাসন নিক, এটি আরব-আমেরিকান ও মুসলিম নেতারা কয়েক মাস ধরেই দাবি করে আসছিলেন।
বাইডেন সেই বহুল কাঙ্ক্ষিত সিদ্ধান্ত নিলেন ঠিকই; কিন্তু ততক্ষণে গত ৭ মাসের ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গাজায় প্রাণ গেছে নিরীহ প্রায় ৩৫ হাজার মানুষের। যার প্রায় অর্ধেকই শিশু।
হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা মুসলিম নেতাদের বোঝানোর চেষ্টা করছেন, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল, হামাসসহ নানা পক্ষের সঙ্গে বিভিন্নভাবে যুদ্ধ বন্ধের জন্য কাজ করে গেছেন তারা।
চলতি বছর মিশিগানে শুরু হওয়া বাইডেনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-ভোট আন্দোলনের অন্যতম নেতা আব্বাস আলাউইহ বলেছেন, ‘বাইডেনের এই ঘোষণা অপর্যাপ্ত। তাঁকে এই যুদ্ধের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। তবেই এটি তাৎপর্যপূর্ণ হবে।’
হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র অ্যান্ড্রু বেটস বলেছেন, ‘আমরা স্বীকার করি, এই ঘটনা অনেক সম্প্রদায়ের জন্য বেদনাদায়ক। এ কারণেই প্রেসিডেন্ট জিম্মি চুক্তি করতে কাজ করছেন। এতে অবিলম্বে টেকসই যুদ্ধবিরতি হবে।’
মার্কিন সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্টনি ব্লিংকেনও বিশিষ্ট আরব-আমেরিকান নেতাদের সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা করছেন।