ময়লা আনতে গিয়ে ব্রুনাইয়ের কিশোরীকে ধর্ষণ করল বাংলাদেশি যুবক
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ব্রুনাইয়ে ১২ বছর বয়সী মানসিক প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক বাংলাদেশি যুবকের শাস্তি ঘোষণা করেছেন ব্রুনাই উচ্চ আদালত। আগামী ২৮ ডিসেম্বর দোষীর সাজা ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়েছে।
অভিযুক্ত আসামি ৩৯ বছর বয়সী মোহাম্মদ শাব আলীকে ১০ থেকে ৩০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হবে এবং সেই সঙ্গে কমপক্ষে ১২টি বেত্রাঘাত করা হবে। আসামির এই কুকর্ম ও শাস্তির বিষয়টি সবার সামনে আদালতে তুলে ধরেন ডিপিপি হাজাহ রোজাইমাহ বিনতে হাজি আব্দুল রহমান।
ঘটনাটি ঘটেছে চলতি বছরের ১৪ জুলাই সকালে ব্রুনাইয়ের কাম্পং সেংকুরংয়ের একটি বাড়িতে। ওই দিন সকালে কিশোরীকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিলেন তার দাদা। হঠাৎ করেই ওই কিশোরীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর তিনি খুঁজতে শুরু করলেন, একপর্যায়ে আসামিসহ স্কুলের ইউনিফর্মে কিশোরীকে বাড়ির দরজার কাছে পড়ে থাকতে দেখেন তার দাদা। ওই সময় দ্রুত গৃহকর্মীর সাহায্য চান তিনি যেন আসামি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে না পারে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি কিশোরীর বাবাকে ফোন করে ঘটনা খুলে বলেন। পরে তার বাবা-মা বাড়িতে এসে তাকে পরীক্ষা করে দেখেন। এর পরেই পুলিশে রিপোর্ট করা হয় এবং ২২ জুলাই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে এসেছে আসামি ওই বাড়ি থেকে সকালে ময়লা সংগ্রহ করতে গিয়েছিল। এরপর ওই কিশোরীকে মাটিতে শুতে বলে, তার অন্তর্বাস খুলে প্রায় দুই মিনিট ধরে তাকে ধর্ষণ করে।
পুলিশের অনুসন্ধানে আরো উঠে এসেছে যে ফোনে আসামির সঙ্গে ওই কিশোরীর কথা হয়েছিল।
ভুক্তভোগী ওই কিশোরী জানায়, আসামিকে তাদের বাড়ির ময়লা সংগ্রহ করতে তিনি একাধিকবার দেখেছেন। ওই দিনই তার মেডিক্যাল পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মেলে।
এ নিয়ে স্থানীয় ডিপিপি হাজাহ রোজাইমাহ আদালতে জোর দিয়ে বলেন, ‘এই কাজটি প্রমাণ করেছে যে একটি অল্পবয়সী মেয়ের নিরাপত্তা তার নিজের বাড়ির আশপাশেও নিশ্চিত করা যায় না।’