রেখার আত্মজীবনী দ্য আনটোল্ড স্টোরি প্রকাশ্যে
তিনি বলিউডের সর্বকালের সেরা গ্ল্যামারকুইন, অন্যতম সেরা সুন্দরী। তিনি চির রহস্যময়ী। ভারতের সেরা অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক এক গভীর আচ্ছাদনে ঢাকা। তিনি ভানুরেখা গণেশন। দুনিয়া যাঁকে চেনে রেখা নামে। সেই রেখার আত্মজীবনীমূলক লেখা সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। ইয়াসির উসমান লিখিত এই বইতে অনেক উন্মোচন আছে যা রেখাকে জানতে সাহায্য করবে। রেখার সচিব ফারজানা। কোনো দিন রেখার জীবনে আসা কোনো পুরুষকে সহ্য করেছেন। না, অমিতাভ কে, না রেখার স্বামী শিল্পপতি মুকেশ আগরওয়ালকে।
রেখার স্বামী মুকেশ আগরওয়াল দিল্লির ফার্মহাউসে রেখারই ওড়না গলায় লাগিয়ে ফাঁস দেন ও আত্মঘাতী হন। না, প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী রেখা-অমিতাভ সম্পর্ক মানতে না পেরেই মুকেশ আত্মঘাতী হন এই ধারণায় কুঠার-আঘাত করেছে রেখার আত্মজীবনী। ছত্রে ছত্রে ইঙ্গিত আছে ফারজানার সঙ্গে না জায়েস সম্পর্ক মানতে পারেননি বলেই মুকেশ আত্মঘাতী হন। তাঁর সুইসাইডাল নোটে অবশ্য লেখা ছিল তাঁর মৃত্যুর জন্যে যেন কাউকে দায়ী না করা হয়, বিশেষ করে রেখাকে। তিনি স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করছেন। মুকেশের মৃত্যুর সময় রেখা লন্ডনে ছিলেন। আনটোল্ড স্টোরিতে বলা আছে, ফারজানা কিভাবে রেখার জীবন নিয়ন্ত্রণ করেন। তিনি কোথায় যাবেন, কী খাবেন, কী পরবেন সব নিয়ন্ত্রণ করেন ফারজানা। এমনকি রেখার বেডরুমে কোনো পরিচারিকারও ঢোকার অনুমতি নেই। ঢুকতে পারেন শুধু ফারজানা। দুজনের মধ্যে সম্পর্কের নিবিড়তার কথা উল্লেখ করে আত্মজীবনীতে লেখা হয়েছে শুধুমাত্র ফারজানার কারণে পরিচালক সুভাষ ঘাই এবং অভিনেতা অনুপম খের রেখার কাজের জীবন থেকে অনেকটা সরে গেছেন।