Our Concern
Ruposhi Bangla
Hindusthan Surkhiyan
Radio Bangla FM
Third Eye Production
Anuswar Publication
Ruposhi Bangla Entertainment Limited
Shah Foundation
Street Children Foundation
December 8, 2024
হেডলাইন
Homeআন্তর্জাতিকসৈন্যরা মোবাইল ব্যবহার করায় ইউক্রেন হামলা করতে পেরেছে

সৈন্যরা মোবাইল ব্যবহার করায় ইউক্রেন হামলা করতে পেরেছে

সৈন্যরা মোবাইল ব্যবহার করায় ইউক্রেন হামলা করতে পেরেছে

ইউক্রেনীয় বাহিনী রাশিয়ার অধিকৃত দোনেৎস্ক অঞ্চলের একটি ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এতে অন্তত ৪০০ রুশ সেনা নিহত হয় বলে দাবি করে কিয়েভ। তবে রাশিয়া সেই হামলায় ৮৯ জন সেনা নিহত হয়েছে বলে স্বীকার করেছে। মস্কো বলছে, সৈন্যরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করায় এই হামলা করতে সক্ষম হয়েছে ইউক্রেন।

বছরের প্রথম দিন, গত ১ জানুয়ারি, দোনেৎস্ক অঞ্চলের মাকিভকা শহরের একটি ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। এ ভবনটিতে রুশ বাহিনী অবস্থান করছিল। হামলায় অন্তত ৪০০ রুশ সেনা নিহত হয়েছেন। এতে আরও ৩০০ জন আহত হতে পারেন বলেও দাবি করে কিয়েভ।

এ হামলার পর রাশিয়ার সেনাবাহিনী এখন বলছে, সেনাদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করা নিষিদ্ধ, যেন শত্রুরা তাদের টার্গেট করতে না পারে। কিন্তু তারা মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছে।

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রথমবারের মতো এতো সৈন্য নিহত হওয়ার দায় স্বীকার করলো রাশিয়া।

রাশিয়ার কর্তৃপক্ষ বলছে, নববর্ষের প্রথম দিন ৬টি রকেট হামলা চালানো হয়, সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি হিমারস রকেটও ছিল। তবে দুটি রকেটকে ভূ-পাতিত করা হয়।

বুধবার ভোররাতে টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে রুশ প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, রেজিমেন্টের ডেপুটি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল বাচুরিন নিহতদের মধ্যে একজন। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করে দেখছে একটি কমিশন।

এতে আরও বলা হয়েছে, এটা ‘এরইমধ্যে স্পষ্ট’ হামলার মূল কারণ ছিল ইউক্রেনীয় অস্ত্রের পরিসরে সৈন্যদের মোবাইল ফোনের উপস্থিতি এবং ব্যবহার। এই ফ্যাক্টরটি শত্রুকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্য সামরিক কর্মীদের অবস্থান সনাক্ত এবং নির্ধারণ করার সংকেত দেয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, তদন্তের পর দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবে মস্কো।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের কোনো রাষ্ট্রের ওপর সবচেয়ে বড় হামলা করে রাশিয়া। গতবছর ২৪ ফেব্রুয়ারি তিন দিক থেকে ইউক্রেন আক্রমণ করে রুশ সেনারা। আতঙ্কে কিয়েভ ছাড়েন হাজার হাজার ইউক্রেনীয়। পূর্ব ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর নির্দেশের আগে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত দুটি অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

গতবছর ২১ ফেব্রুয়ারি টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে পুতিন ইউক্রেনকে রাশিয়ার ইতিহাসের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, পূর্ব ইউক্রেন এক সময় রাশিয়ার ভূমি ছিল। পুতিনের এ ঘোষণার পরপর শুরু হয় ইউক্রেন আগ্রাসন।

এখনো হামলা অব্যাহত রয়েছে ইউক্রেনে। এদিকে, পাল্টা প্রতিরোধ যুদ্ধ অব্যাহত রাখতে দফায় দফায় ইউক্রেনকে সহায়তা দিচ্ছে পশ্চিমা মিত্ররা।

সূত্র: বিবিসি

Share With:
Rate This Article
No Comments

Leave A Comment