Our Concern
Ruposhi Bangla
Hindusthan Surkhiyan
Radio Bangla FM
Third Eye Production
Anuswar Publication
Ruposhi Bangla Entertainment Limited
Shah Foundation
Street Children Foundation
July 27, 2024
Homeখেলাধুলা১১ বছর পর এশিয়া কাপে ভারতকে হারাল বাংলাদেশ

১১ বছর পর এশিয়া কাপে ভারতকে হারাল বাংলাদেশ

১১ বছর পর এশিয়া কাপে ভারতকে হারাল বাংলাদেশ

১১ বছর পর এশিয়া কাপে ভারতকে হারাল বাংলাদেশ। এশিয়া কাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে ভারতকে ৬ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে এশিয়া কাপে অপরাজিত ছিল ভারত। কিন্তু ফাইনালে ওঠা দলটিকে মাটিতে নামাল টাইগার বাহিনী। এরমধ্য দিয়ে এশিয়া কাপে নিজেদের শেষ ম্যাচটা রাঙিয়ে দিল সাকিব বাহিনী।

শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় কলম্বোয় মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও ভারত। সাকিব ও হৃদয়ের অর্ধশতক এবং টেলেএন্ডারদের কল্যাণে ভারতকে ২৬৬ রানের টার্গেট দেয় বাংলাদেশ। জবাবে ৪৯.৫ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৫৯ রান করে ভারত। তাতে ৬ রানে জয় পায় লাল-সবুজের দল।

অনেক আগেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যেতে পারত ভারত। মূলত তাদের লড়াইয়ে টিকিয়ে রাখেন শুভমান গিল। তবে তার বিদায়ও বাংলাদেশের জয়ের পথের বাধা দূর করতে পারেনি। এরপর অক্ষর প্যাটেল ও শার্দুল ঠাকুর চোখ রাঙাতে থাকেন। সেই চোখে চোখ রেখে লড়াইয়ের লাগাম পুরোপুরি নিজেদের হাতে নিয়েছেন মুস্তাফিজরা।

সুপার ফোর পর্বে এখনো পর্যন্ত দুই ম্যাচ খেলে কোনো জয় পায়নি বাংলাদেশ। ইতোমধ্যেই আসর থেকেও ছিটকে গেছে তারা। আজ নিয়মরক্ষার শেষ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিং শুরু করে সাকিব আল হাসানের দল। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে অবশ্য সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ দল। দলীয় ২৫ রানের আগেই ফিরে যায় দলের টপ অর্ডার।

ম্যাচের প্রথম বলে চার মেরে খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। মোহাম্মদ শামির বলে স্কয়ার লেগে চার হাঁকান তানজিদ হাসান তামিম। ওই ওভারে বাংলাদেশ তুলে ৫ রান। শার্দল ঠাকুরের পরের ওভারে তামিম একাই তুলেন ৮ রান। তবে ম্যাচ শুরুর সুখ স্মৃতি বলতে গেলে বাংলাদেশের এতটুকুই।

নিজের দ্বিতীয় ওভারেই লিটন দাসকে তুলে নেন শামি। ভারতীয় পেসারের বলে ০ রানে সরাসরি বোল্ড হন বাংলাদেশি ওপেনার। লিটন ফিরে যাওয়ার পর নামেন এই ম্যাচ দিয়ে দলে ফেরা এনামুল বিজয়।

পরের ওভারে প্রথম বলে শার্দল ঠাকুরের শিকারে পরিণত হন তামিম। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামা তরুণ এই ওপেনারও লিটনের মতো সরাসরি বোল্ড হন। ১২ বলে তিনি করেন ১৩ রান।

তামিম যাওয়ার পর অধিনায়ক সাকিব ক্রিজে আসেন তবে সাকিবকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি বিজয়। শুরু থেকেই ঠাকুরের বলে অস্বস্তিতে ছিলেন এই ম্যাচ দিয়ে দলে ফেরা এই ব্যাটার। তবে ঠাকুরের বলেই উইকেট দিয়ে আসলেন বিজয়। শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে খাড়া ওপরে ক্যাচ তুলে উইকেটকিপারের হাতে ধরা পড়ে ১১ বলে ৪ রানের নিজের অস্বস্তিকর ইনিংসের ইতি টানেন বিজয়।

দলীয় ২৮ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা দলকে পথ দেখায় টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। প্রথমে মিরাজকে নিয়ে এবং পড়ে তাওহীদকে নিয়ে দলের হাল ধরেন। প্রত্যেকটি বল তিনি খেলেছেন মেরিট বুঝে। মারার বল হলে মেরেছেন না হয় ঠেকিয়েছেন।

এরমধ্যেই ২৬তম ওভারের চতুর্থ বলে অক্ষর প্যাটেলকে ছক্কা হাঁকিয়ে ফিফটি পূরণ করেছন তিনি। সাকিব ৬৭ বল খেলে ফিফটি করে যেভাবে এগোচ্ছিলেন, তাতে মনে হচ্ছিল ওয়ানডে ক্রিকেটের দশম সেঞ্চুরিটা বোধ হয় আজই হয়ে যাবে।

কিন্তু শার্দূলের স্লোয়ার বল স্টাম্পে টেনে এনে বোল্ড হন সাকিব। ৬টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৮৫ বলে ৮০ রানের ইনিংস খেলেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। ফিফটি করেছেন হৃদয়ও। তাঁর ৮১ বলে ৫৪ রান বাংলাদেশের রানটাকে দুই শ’র কাছাকাছি পৌঁছে দেয়। ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় সাজানো ইনিংসটির ইতি ঘটে অসময়ে। ৪২তম ওভারে শামির বলে পুল শট খেলে স্কয়ার লেগ বাউন্ডারিতে ক্যাচ আউট হন তিনি।

বাংলাদেশ ইনিংসের বাকি পথটা পাড়ি দেয় নাসুম আহমেদের ব্যাটে চড়ে। ওয়ানডে ক্রিকেটে তো বটেই, লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটেও ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে বাংলাদেশের রানটাকে আড়াই শ’র কাছাকাছি নিয়ে যান এই বাঁহাতি স্পিনার। ৪৮তম ওভারে প্রসিধ কৃঞ্চার বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৪৫ বল খেলে ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪৪ রান করেন নাসুম। লড়াই করেছেন মেহেদী ও তানজিমও। দুজনের মিলে যোগ করেন ১৬ বলে আরও ২৭ রান।

ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন শার্দল ঠাকুর। এছাড়াও শামি ২টি এবং জাদেজা, অক্ষর ও প্র্রদিশ ১টি উইকেট নেন।

Share With:
Rate This Article
No Comments

Leave A Comment