১৭ দেশে করোনার ভারতীয় ধরন শনাক্ত
করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরন (ভ্যারিয়েন্ট) বিশ্বের আরও অন্তত ১৭টি দেশে ছড়িয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্বে স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। আশার কথা হচ্ছে এই তালিকায় বাংলাদেশের নাম নেই।
ভারত ছাড়া অন্য দেশগুলো হলো- যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, জার্মানি, নিউজিল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, পর্তুগাল, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, গ্রিস, নেদারল্যান্ডস, ইতালি ও কম্বোডিয়া।
ডব্লিউএইচও গতকাল মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে। বুধবার বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়।
করোনার ভারতীয় ধরনটি ‘বি.১.১৬৭’ নামে পরিচিত। করোনার এ ধরনকে অতি সংক্রামক বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতে করোনার সংক্রমণ মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে এ ধরন ভূমিকা রাখছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ডব্লিউএইচও বলেছে, জিনোম সিকোয়েন্সিং ডেটাবেইস গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটায় (জিআইএসএআইডি) গতকাল পর্যন্ত ১ হাজার ২০০টির বেশি করোনার ‘বি.১.১৬৭’ ধরনের সিকোয়েন্স আপলোড করা হয়েছে। অধিকাংশ সিকোয়েন্সই ভারত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও সিঙ্গাপুর থেকে আপলোড করা হয়েছে।
অপর দেশগুলো হলো অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, জার্মানি, নিউজিল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, পর্তুগাল, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, গ্রিস, নেদারল্যান্ডস, ইতালি ও কম্বোডিয়া।
করোনাভাইরাস প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হয়। পরিবর্তিত হয়ে নিজের নতুন নতুন ধরন তৈরি করে। ভারতে গত অক্টোবরে প্রথম ‘বি.১.১৬৭’ ধরনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় বলে দেশটির গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে। এ ধরনেরও একাধিক সংস্করণ তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে।
ভারতে এখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। ভারতে প্রথম দফার চেয়ে দ্বিতীয় দফার সংক্রমণের গতি অনেক বেশি। ভারতে করোনার সংক্রমণের গতি বৃদ্ধির জন্য নতুন ধরনটি দায়ী হতে পারে।
ভারতের বর্তমান করোনা পরিস্থিতির জন্য তিনটি কারণ উল্লেখ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এগুলো হলো গণজমায়েত, অতি সংক্রামক করোনা ধরণ ও টিকাদানের নিম্ন হার।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ভারতে করোনায় সংক্রমিত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৭৯ লাখ ৯৭ হাজার ২৬৭ জন। ভারতে করোনায় মোট মৃত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১ হাজার ১৮৭।
ভারতে করোনার সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করায় দেশটি তার সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যগত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। অক্সিজেন, ওষুধ, হাসপাতালে শয্যার সংকটসহ নানা সমস্যায় দেশটির স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়ার উপক্রম।❐