Our Concern
Ruposhi Bangla
Hindusthan Surkhiyan
Radio Bangla FM
Third Eye Production
Anuswar Publication
Ruposhi Bangla Entertainment Limited
Shah Foundation
Street Children Foundation
March 29, 2024
Homeবাংলাদেশ৩ ঘণ্টা আটকে রেখে জবি ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগ

৩ ঘণ্টা আটকে রেখে জবি ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগ

৩ ঘণ্টা আটকে রেখে জবি ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগ

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী হলের এক ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে হল ছাত্রলীগের কিছু নারী কর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তরা হলেন নাজমুন নাহার স্বর্ণা পাটোয়ারী, তন্বীসহ তাদের সহযোগী রিশিতা, নিনজা, ফাল্গুনী ও ইরা। তারা সবাই একই হলের আবাসিক ছাত্রী ও শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহীম ফরাজির কর্মী। গত মঙ্গলবার রাতে ছাত্রী হলের ১২ তলায় এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হাফসা বিনতে নূর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় আজ বুধবার (১৭ অক্টোবর) হল প্রভোস্টের মাধ্যমে উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রুমে ঝাড়ু দেওয়াকে কেন্দ্র করে ভুক্তভোগী হাফসার সাথে জুনিয়র রুমমেট রেবেকা খাতুনের কথা-কাটাকাটি হয়। রাতে রেবেকা হলের অন্য রুমের মেয়েদের নিয়ে তিন ঘণ্টা রুমে আটকে হাফসাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন ও হেনস্তা করেন। এক পর্যায়ে হাফসা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।

ভুক্তভোগী হাফসা বলেন, ‘রেবেকা তার আপুদের রাজনৈতিক প্রভাব দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রুমের কাজ নিয়মিত করত না। তাকে কাজগুলো করার জন্য বললে সে স্বর্ণাসহ সাত-আটজন রুমে আমাকে তিন ঘণ্টার মতো হেনস্তা করে। গায়ে হাত ও কাপড় টানাটানি করে। একসময় আমি অজ্ঞান হয়ে যাই।’

অভিযুক্ত নাজমুন নাহার স্বর্ণা বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর আমি ম্যামকে সাথে নিয়ে ওদের রুমে যাই। আমি গিয়ে ওদের শান্ত করার চেষ্টা করি। কিন্তু হাফসা আপুকে মারধরের বিষয় আমি কিছু জানি না। একপর্যায়ে আমি ওদের রুমে ম্যামকে রেখে নিচে চলে আসি। তারপর নাকি হাফসা আপু আমাদের ছাত্রলীগের মেয়েদের গায়ে হাত দেন।’

ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা হলের আবাসিক শিক্ষক মানসুরা বেগম বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনার জেরে আবেগের বশবর্তী হয়ে এ কলহের সূত্রপাত ঘটে। অবস্থা বেগতিক জেনে আমি সেখানে উপস্থিত হই। আমি যাওয়ার পরও তারা আক্রমণাত্মক ছিল। আর হাফসাকে রুমের বাইরে যেতে দিচ্ছিল না।’

এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দীপিকা রাণী সরকার বলেন, ‘হলে বেশ কিছুদিন যাবৎ এ ধরনের ঘটনা ঘটতেই আছে। এ ধরনের নানান ঘটনায় আমি শঙ্কিত। আজ অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা আলোচনায় বসেছি। তারপর দুই পক্ষকে ডেকে বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছি। পুনরায় যদি কেউ এ ধরনের কাজের সাথে জড়িত হয়, তাহলে তার সিট বাতিল হবে।’

সুত্র: কালের কণ্ঠ

Share With:
Rate This Article
No Comments

Leave A Comment