৪০ বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে তেলের রিজার্ভ সর্বনিম্নে
১৯৮৪ সালের পর সবথেকে নিম্ন পর্যায়ে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ‘স্ট্রাটেজিক পেট্রোলিয়াম রিজার্ভ’। দেশটির ডিপার্টমেন্ট অব এনার্জি থেকে সম্প্রতি এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় নিজেদের রিজার্ভ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয় জো বাইডেন প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রে জ্বালানির দাম বৃদ্ধি নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। রিজার্ভ ব্যবহার করে তাই দাম নিয়ন্ত্রণ করছেন বাইডেন। আগামী বছরের আগে এই রিজার্ভ পুনরায় ভরার কোনো ইচ্ছা নেই তার প্রশাসনের।
আরটি জানিয়েছে, গত আগস্ট মাসে রিজার্ভ থেকে ১৮ মিলিয়ন ব্যারেল ক্রুড তেল উত্তোলন করে যুক্তরাষ্ট্র। গত শুক্রবার এরফলে দেশটির রিজার্ভে থাকা তেলের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৫০ মিলিয়ন ব্যারেলে। এ বছরের প্রথম ৬ মাসে রিজার্ভ থেকে মোট ১২৫ মিলিয়ন ব্যারেল তেল বাজারে ছাড়া হয়েছে। বাইডেনের অধীনে যুক্তরাষ্ট্রে জ্বালানির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
রিপাবলিকানরা এ জন্য তার ‘গ্রিন এনার্জি’ নীতিকেই দায়ী করছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে যেখানে গ্যাসের গড় দাম ছিল প্রতি গ্যালন ২.২৮ ডলার।
সেটি এক বছরের মাথায় গিয়ে দাঁড়ায় ৩.৪০ ডলার। এ বছরের জুনে এই দাম পৌঁছায় রেকর্ড ৫ ডলারে। পরে রিজার্ভ থেকে জ্বালানী উত্তোলন করে দাম ৩.৮৫ ডলারে নামিয়ে আনা হয়েছে।