দুটি এনআইডি নেওয়ায় সাবরিনার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের মামলা
তথ্য গোপন ও জালিয়াতির মাধ্যমে দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেওয়ার অভিযোগে জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
গত রবিবার রাতে রাজধানীর বাড্ডা থানায় এ মামলা করেন গুলশান থানা নির্বাচন কর্মকর্তা মমিন মিয়া। করোনা পরীক্ষা নিয়ে জালিয়াতির মামলায় বর্তমানে কারাগারে থাকা সাবরিনাকেই শুধু মামলায় আসামি করা হয়েছে।
ইসির করা মামলায় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের বরখাস্ত চিকিৎসক সাবরিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১ অক্টোবর তারিখ ধার্য করেছে আদালত। এই মামলার এজাহার সোমবার আদালতে আসে। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এজাহারটি গ্রহণ করে বাড্ডা থানার এসআই মইনুল ইসলামকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলে নির্দেশ দেন।
ইসির করা মামলায় অভিযোগ করা হয়, বর্তমানে সাবরিনার দুটি এনআইডি কার্ড সক্রিয়। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিষয়টি টের পাওয়ার পর বিস্তারিত জানতে ইসির কাছে তথ্য চেয়েছে।
সাবরিনা ২০১৬ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় দ্বিতীয়বার ভোটার হন। তিনি প্রথমে ভোটার হন সাবরীনা শারমিন হোসেন নামে। একটিতে জন্ম তারিখ দেওয়া ১৯৭৮ সালের ২ ডিসেম্বর। অন্যটিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর। প্রথমটিতে স্বামীর নাম হিসেবে ব্যবহার করেছেন আর এইচ হক। আর দ্বিতীয়টিতে স্বামীর নাম লেখা হয়েছে আরিফুল চৌধুরী।
করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহের জন্য অনুমোদন পেয়েছিল সাবরিনার প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথ কেয়ার। কিন্তু নমুনা সংগ্রহের নামে সাধারণ মানুষের কাছে করোনা পরীক্ষার ভুয়া সনদ বিক্রি করে প্রতিষ্ঠানটি বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ ওঠে। এ অভিযোগে সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলাটিতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন।❐