নিউ ইর্য়কে বাংলাদেশ কনস্যুলেটে ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উদযাপন
নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল গতকাল (৮ আগস্ট) যথাযোগ্য মর্যাদায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।
বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস এর অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে, স্বাগতিক দেশের বিধিবিধান প্রতিপালন করে কনস্যুলেটে কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসার সভাপতিত্বে এ দিবসটি উদযাপন করা হয়।
আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এ বছর বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকীতে প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়ছেে ‘বঙ্গমাতা ত্যাগ ও সুন্দরের সাহসী প্রতীক’, যা মহীয়সী এ নারীর জীবন ও কর্মের সাথে গভীরভাবে সম্পৃক্ত।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, অনুষ্ঠানরে শুরুতে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা এবং কনস্যুলেটের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
কনসাল জেনারেল এ উপলক্ষে ঢাকা থেকে প্রেরিত মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন। জাতির পিতা, তার পরিবারের অন্যান্য শহীদ সদস্য ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফরোত কামনা করেন এবং দেশের অব্যাহত সমৃিদ্ধর জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয় এবং তাদের আত্মার শান্তি কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, অনুষ্ঠানে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ওপর নির্মিত একটি প্রামান্যচিত্র প্রর্দশন করা হয়।
কনসাল জেনারেল তার বক্তব্যে র্সবকালের র্সবশ্রষ্ঠে বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং জাতির পিতা ও তার পরিবারের সকল শহীদ সদস্যদের হত্যাকারীদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে বিচারের রায় কার্যকরে সচেষ্ট থাকার জন্য তনিি সকলকে আবারও অনুরোধ জানান ।
শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জীবন আলোচনায় কনসাল জেনারেল বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের অবদান অপরিসীম। দেশ ও জাতির জন্য অপরিসীম ত্যাগ, সহমর্মিতা, সহযোগিতা ও বিচক্ষণতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবকে ‘বঙ্গমাতা’য় অভষিক্তি করেছে। বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস এর অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে, স্বাগতিক দেশের বিধিবিধান প্রতিপালন করে কনস্যুলেটে কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসার সভাপতিত্বে এ দিবসটি উদযাপন করা হয়।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবকে কনসাল জেনারেল ‘রত্নর্গভা’ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, তিনি শত প্রতিকূলতার মাঝেও তাঁর সন্তানদের আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন এবং তাঁরই জন্য আজ আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো অতি বিচক্ষণ, দূরর্দশী এবং মমতাময়ী একজন মহান নেতার নির্দেশনায় বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তুলতে এগিয়ে যাচ্ছি।
নিউ ইর্য়কে বসবাসরত শহীদ শেখ কামালের স্ত্রী শহীদ সুলতানা কামালের জ্যেষ্ঠ বোন মিজ খালদো রহমান ফােন কলের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব ও শেখ কামালকে নিয়ে স্মৃতচারণ করেন।❏