বিশ্বে কুকুরের কামড়ে মারা যাওয়া ৩৬ ভাগই ভারতে
ভারতের কেরালা রাজ্যে কুকুরে কামড়ানোর পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে ১২ বছর বয়সী এক শিশুর। সোমবার হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার। শিশুটির পরিবার জানায়, গত মাসে কুকুরে কামড়ানোর পর তাকে জলাতঙ্ক রোগের তিনটি টিকাও দেওয়া হয়েছিল। চতুর্থ ডোজ দেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হলো। এই ঘটনার জেরে ফের আলোচনায় আসে কুকুর।
হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, কুকুরের কামড়ে শুধু কেরালাতেই চলতি বছর ২১ জনের মৃত্যু হলো। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, কুকুরের কামড় বা জলাতঙ্ক রোগে বিশ্বে যত মানুষ মারা যায়, তার ৩৬ ভাগই ভারতে। বছরে এই সংখ্যা ১৮ থেকে ২০ হাজার।
ভারত সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে দেশজুড়ে নেড়ি কুকুরের সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৫৩ লাখ। যদিও ২০১২ সালে এই সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৭১ লাখের বেশি। শুধু কেরালাতেই রয়েছে ২ লাখ ৯০ হাজারের বেশি নেড়ি কুকুর।
কেরালায় কুকুরের কামড়ে মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় উদ্যোগ নেওয়া হয় কুকুরের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়ার। ২০১৬ সালে রাজ্যটিতে কুকুর হত্যার ক্যাম্পেইনও শুরু হয়। যদিও সেই সময় এর বিরুদ্ধে সরব হন প্রাণিপ্রেমীরা। হ্যাসট্যাগ বয়কট কেলারা লিখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আন্দোলনও করেন অনেকে। ফলে বন্ধ হয়ে যায় কুকুর হত্যা।
কেন্দ্রীয় সরকার কেন নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না বেওয়ারিশ কুকুরগুলোকে? এ বিষয়ে ভাতের সুপ্রিম কোর্টে আগামী শুক্রবার পিটিশনের ওপর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।